সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : আমরা করোনাতে মরতে চাই , তবে না খেতে পেয়ে নয় । বাড়ির সবাই না খেতে পেয়ে মরে যাবে আমরা কাজে যেতে না পারলে । ২০০ টাকা রোজের মধ্যে ১০০ টাকা যদি গাড়ি ভাড়া দিতেই চলে যায় কি দিয়ে চলবে সংসার ? ট্রেন চালাতেই হবে । কেন রেল পুলিশ হয়রানি করবে ? এর প্রতিকার চাই । এই সমস্ত দাবী তুলে হুগলীর বৈদ্যবাটী রেল স্টেশনে অবরোধ শ্রমজীবী মানুষদের । পুরুষ , মহিলা নির্বিশেষে সকলেই অবরোধে সামিল । রেল লাইনের উপর বসে অবরোধ চলছে কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপের দাবী জানিয়ে । গত শনিবার হাওড়া স্টেশনে যেভাবে রেল পুলিশ হয়রানি করেছে তার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন যাত্রীরা । লোকাল ট্রেন চালাতে হবে । যে ট্রেন " স্পেশাল " নামে চলছে সেখানে যাত্রীদের যাতায়াত করতে দিতে হবে বলে সোচ্চার সকলে । করোনা আবহের মধ্যেই সমস্ত অফিস খোলা । বেসরকারী কল কারখানাও চলছে । সেখানে যদি কাজে যোগ দিতে না পারেন তাহলে রোজগার বন্ধ । এছাড়াও বহু মানুষ রয়েছেন যারা জমিতে কাজ করেন , দৈনিক মজুর , অপরের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন তারাও বিপাকে পড়ছেন দিনের পর দিন । মূল যাতায়াত ছিল যে লোকাল ট্রেন তা বন্ধ । দীর্ঘদিন লকডাউনের জেরে হেঁসেলে টান ধরেছে । জিনিসপত্রের দাম ও আগুন । কাজ না করলে বাঁচা অসম্ভব । লোকাল ট্রেন চালানোর দাবী এবং পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবীতে অবরোধ বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা ।