আমরা করোনাতে মরতে চাই , না খেতে পেয়ে নয় - রেল অবরোধে নামলেন শ্রমজীবী মানুষ

2nd November 2020 8:57 am হুগলী
আমরা করোনাতে মরতে চাই , না খেতে পেয়ে নয় - রেল অবরোধে নামলেন শ্রমজীবী মানুষ


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : আমরা করোনাতে মরতে চাই , তবে না খেতে পেয়ে নয় । বাড়ির সবাই না খেতে পেয়ে মরে যাবে আমরা কাজে যেতে না পারলে । ২০০ টাকা রোজের মধ‍্যে ১০০ টাকা যদি গাড়ি ভাড়া দিতেই চলে যায় কি দিয়ে চলবে সংসার ? ট্রেন চালাতেই হবে । কেন রেল পুলিশ হয়রানি করবে ? এর প্রতিকার চাই । এই সমস্ত দাবী তুলে হুগলীর বৈদ‍্যবাটী রেল স্টেশনে অবরোধ শ্রমজীবী মানুষদের । পুরুষ , মহিলা নির্বিশেষে সকলেই অবরোধে সামিল । রেল লাইনের উপর বসে অবরোধ চলছে কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপের দাবী জানিয়ে । গত শনিবার হাওড়া স্টেশনে যেভাবে রেল পুলিশ হয়রানি করেছে তার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন যাত্রীরা । লোকাল ট্রেন চালাতে হবে । যে ট্রেন " স্পেশাল "  নামে চলছে সেখানে যাত্রীদের যাতায়াত করতে দিতে হবে বলে সোচ্চার সকলে । করোনা আবহের মধ‍্যেই সমস্ত অফিস খোলা । বেসরকারী কল কারখানাও চলছে । সেখানে যদি কাজে যোগ দিতে না পারেন তাহলে রোজগার বন্ধ । এছাড়াও বহু মানুষ রয়েছেন যারা জমিতে কাজ করেন , দৈনিক মজুর , অপরের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন তারাও বিপাকে পড়ছেন দিনের পর দিন । মূল যাতায়াত ছিল যে লোকাল ট্রেন তা বন্ধ । দীর্ঘদিন লকডাউনের জেরে হেঁসেলে টান ধরেছে । জিনিসপত্রের দাম ও আগুন । কাজ না করলে বাঁচা অসম্ভব । লোকাল ট্রেন চালানোর দাবী এবং পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবীতে অবরোধ বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।